যুবক গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ সংক্রান্ত তথ্য
একনজরে

টার্গেট : যুবক কমিশনের সহযোগিতা নিয়ে দায়-দেনার মাত্রা শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনা;

২০০৬ সালে যুবকের মোট দেনার পরিমাণ ছিলো ৭০০-৭৫০ কোটি টাকা।
বিগত সময়ে কম-বেশি ১০০০ কোটি টাকা লভ্যাংশ যোগ হয়ে ২০১১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে- ১৭০০ থেকে ১৮০০ কোটি টাকা (আনুমানিক)।
 
২০০৬ সালে যুবক-এর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিলো  ৮০০-৯০০ কোটি টাকা।
বিগত সময়ে জমির মূল্য বৃদ্ধির ফলে সম্পদের মূল্যমান বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। অপরদিকে লুটপাট, দখল এবং ব্যবসা বন্ধ থাকার কারণে সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণও বিশাল অঙ্কে দাঁড়িয়েছে।

ইতোমধ্যে দায় পরিশোধ হয়েছে (নগদ ২০০ ও  জমির সাথে সমন্বয় ৪০০) মোট ৬০০ কোটি টাকা।
২০০৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নগদ টাকা পরিশোধ হয়েছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে নগদ টাকা বিতরণ হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। ২০০৮ সালের প্রায় পুরো সময়টা ছিলো মারমুখি। ২০০৯ সালের শেষার্ধে জমির মাধ্যমে দায়-দেনা পরিশোধের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। প্রধানত: ২০১০ সাল থেকে চলতি সময় পর্যন্ত প্লট প্রদানের মাধ্যমে দায় পরিশোধ কার্যক্রম বেগবান   হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় ৪০০০ প্লট রেজিস্ট্রি করে দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দায় সমন্বয় সম্ভব হয়েছে প্রায়  ৪০০ কোটি টাকা। এরই ধারাবাহিকতায় দায় পরিশোধের ক্রমধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

দায়-মুক্তির লক্ষ্যে যুবক কমিশনের সহযোগিতায় নিম্নরূপ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে :
ক. গত ৬ বছরে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এবং ব্যবসায়িকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।
যুবক কমিশনের সহায়তায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ পরিচর্যার পর পাওনাদারদের আগ্রহী অংশের মধ্যে পাওনার বিপরীতে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল্যমান হতে পারে ৪০০- ৫০০ কোটি টাকা। যুবক কমিশনের সম্মতি সাপেক্ষে প্রক্রিয়াটি ৬ মাসের মধ্যে শুরু করা যাবে।
খ. দায় পরিশোধের লক্ষ্যে নগদ টাকা বিতরণ করা হবে ১০০ কোটি টাকা। ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। ২০১০-১৪ সালের মধ্যে এই ১০০ কোটি টাকা নগদ বিতরণ সম্পন্ন করা হবে। যুবক কমিশনের অবগতিতে যুবক-এর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এ টাকা বিতরণ শুরু হয়েছে।
গ. জমি প্রদানের মাধ্যমে দায় পরিশোধ করা হবে ৯০০-১০০০ কোটি টাকা। এজন্য প্রয়োজন হবে, ৬০,০০০ শতক জমি। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্লট যোগ্য জমির পরিমাণ ছিলো প্রায় ১ লক্ষ শতক। বিগত সময়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির পরও বর্তমানে নানানভাবে ব্যবহারযোগ্য জমির পরিমাণ যা আছে তা প্রণিধানযোগ্য। তবে যুবক কমিশনের সহযোগিতায় পূর্বের বায়নাকৃত জমি ক্রয় সম্পন্ন করা, ক্রয়কৃত জমির সংলগ্ন জমি ক্রয় করা, মামলাধীন জমির মামলা নিষ্পত্তি করা এবং লুটপাট হওয়া জমি পুণরুদ্ধারের কাজটি সফল করার ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হলে পরিকল্পনার পুরোটাই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
যুবক কমিশনের সহযোগিতায় প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে ২/৩ বছর লাগতে পারে।

  Share on Facebook